settings icon
share icon
প্রশ্ন

ঈশ্বর কে? ঈশ্বর কি? আমরা কিভাবে ঈশ্বরকে জানতে পারি?

উত্তর


সমস্ত সৃষ্টি ও মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনা উভয়ের কাছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কিত সত্য তথ্যটি খুবই সুস্পষ্ট, বিষয়টি এমন যারা নাস্তিক পবিত্র বাইবেল তাদেরকে “বোকা/মূঢ়” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে (গীতসংহিতা ১৪:১ পদ), বাইবেল কখনই ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করেনি; বরং এটি শুরু থেকেই তাঁর অস্তিত্বকে ধারণ বা গ্রহণ করেছে (আদিপুস্তক ১:১ পদ)। পবিত্র বাইবেল যা করে তা হলো ঈশ্বরের স্বভাব, তাঁর চরিত্র বা বৈশিষ্ট্য ও তাঁর কাজগুলো প্রকাশ করে।

ঈশ্বর কে?- সংজ্ঞা
ঈশ্বর সম্পর্কে সঠিকভাবে চিন্তা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, কারণ ঈশ্বর সম্পর্কিত ভুল বা মিথ্যা ধারণা হলো এক ধরনের প্রতিমাপূজা। গীতসংহিতা ৫০:২১ পদে ঈশ্বর দুষ্টলোকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দিয়ে তাদের অনুযোগ করে বলেন যে, “তুমি মনে করিয়াছ, আমি তোমারই মতন।” ঈশ্বর সম্পর্কিত সংজ্ঞার একটি সুন্দর সারসংক্ষেপ দিয়ে শুরু করা হলো এমন, ঈশ্বর হলেন “সর্বশ্রেষ্ঠ বা অদ্বিতীয় সত্তা, সৃষ্টিকর্তা এবং যা কিছু আছে তার শাসনকর্তা; যিনি নিজেই নিজের অস্তিত্বে বিরাজমান এমন একজন যিনি শক্তিমত্তায়, উত্তমতায় ও জ্ঞানে নিখুঁত ও নির্ভুল।”

ঈশ্বর কে?- তাঁর প্রকৃতি বা স্বভাব
আমরা জানি কোন একটি কারণের জন্য ঈশ্বরের সুনির্দিষ্ট বিষয়াবলী সত্যরূপে প্রকাশ পেয়ে থাকেঃ ঈশ্বর তাঁর অনুগ্রহে তাঁর কিছু কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য আমাদের কাছে প্রকাশ করতে নেমে আসেন। ঈশ্বর হলেন আত্মা, প্রকৃতিগতভাবে যা অধরা বা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে (যোহন ৪:২৪ পদ)। ঈশ্বর এক বা অদ্বিতীয়, কিন্তু তিনি তিন ব্যক্তিতে বিরাজমান- পিতা ঈশ্বর, পুত্র-ঈশ্বর ও পবিত্র আত্মা-ঈশ্বর (মথি ৩:১৬-১৭ পদ)। ঈশ্বর হলেন অসীম, অনন্ত (১তীমথিয় ১:১৭ পদ), তিনি অতুলনীয় (২শমূয়েল ৭:২২ পদ), এবং তিনি অপরিবর্তনীয় (মালাখি ৩:৬ পদ)। ঈশ্বর সব জায়গায় বিরাজ করেন (গীতসংহিতা ১৩৯:৭-১২ পদ), তিনি সব কিছু জানেন (মাথি ১১:২১ পদ), এবং সমস্ত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব তাঁর (ইফিষীয় ১ অঃ; প্রকাশিত বাক্য ১৯:৬ পদ)।

ঈশ্বর কে?- তাঁর চরিত্র বা বৈশিষ্ট্য
পবিত্র বাইবেলে প্রকাশিত ঈশ্বরের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যকার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য এখানে তুলে ধরা হলোঃ ঈশ্বর একমাত্র, অর্থাৎ তিনি তা-ই যা তিনি স্বয়ং (প্রেরিত ১৭:৩১ পদ), ঈশ্বর প্রেমময় (ইফিষীয় ২:৪-৫ পদ), তিনি সত্যপরায়ণ (যোহন ১৪:৬ পদ), এবং তিনি পবিত্র (১যোহন ১:৫ পদ)। ঈশ্বর আমাদের প্রতি সহানুভূতি (২করিন্থীয় ১:৩ পদ), দয়া বা করুণা (রোমীয় ৯:১৫ পদ) ও তাঁর অনুগ্রহ (রোমীয় ৫:১৭ পদ) প্রদর্শন করেন। তিনি পাপের বিচার করেন (গীতসংহিতা ৫:৫ পদ), কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি আমাদের প্রতি তাঁর ক্ষমাশীলতাও (গীতসংহিতা ১৩০:৮ পদ) প্রদর্শন করেন।

ঈশ্বর কে?- তাঁর কাজ
আমরা ঈশ্বরকে তাঁর কাজ ব্যতীত বুঝতে পারি না, কারণ তিনি যা তা তাঁর কাজের মধ্যে প্রবাহিত হয়। এখানে ঈশ্বরের কাজের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তুলে ধরা হলো- অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎঃ ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করলেন (আদিপুস্তক ১:১; যিশাইয় ৪২:৫ পদ); তিনি সক্রিয়ভাবে বিশ্বকে ধরে রেখেছেন (কলসীয় ১:১৭ পদ); তিনি তাঁর অনন্ত বা চিরস্থায়ী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাচ্ছেন (ইফিষীয় ১:১১ পদ), আর এর সব কিছুই সাথে সেই মুক্তিদাতার মুক্তি বা পরিত্রাণকার্য জড়িত যা মানুষকে তার পাপ ও মৃত্যু থেকে উদ্ধার করে (গালাতীয় ৩:১৩-১৪ পদ); তিনি লোকদেরকে খ্রীষ্টের কাছে নিয়ে আসেন (যোহন ৬:৪৪ পদ); তিনি তাঁর সন্তানদের শাসন করেন (ইব্রীয় ১২:৬ পদ); আর তিনি সারা বিশ্বের বিচার করবেন (প্রকাশিত বাক্য ২০:১১-১৫ পদ)।

ঈশ্বর কে?- তাঁর সহিত সম্পর্ক
পুত্রের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর মানবরূপ ধারণ করলেন (যোহন ১:১৪ পদ)। ঈশ্বর-পুত্র মানব-পুত্র হলেন, আর এভাবেই ঈশ্বর ও মানুষের মাঝে একটি “সেতু/সংযোগ” স্থাপিত হলো (যোহন ১৪:৬; ১তীমথিয় ২:৫ পদ)। ইনি সেই একমাত্র পুত্র যাঁর মধ্য দিয়ে আমরা পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারি (ইফিষীয় ১:৭ পদ), তিনি হলেন ঈশ্বরের সাথে আমাদের মিলনকারী বা মধ্যস্থ (যোহন ১৫:১৫ পদ; রোমীয় ৫:১০ পদ), এবং অনন্ত পরিত্রাণ (২তীমথিয় ২:১০ পদ)। যীশু খ্রীষ্টেতে, “ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা দৈহিকরূপে বাস করে” (কলসীয় ২:৯ পদ)। কাজেই, ঈশ্বর কে তা প্রকৃতরূপে জানতে আমাদের সকলকে অবশ্যই যীশুর প্রতি দৃষ্টিপাত করতে হবে।

English


বাংলা হোম পেজে ফিরে যান

ঈশ্বর কে? ঈশ্বর কি? আমরা কিভাবে ঈশ্বরকে জানতে পারি?
© Copyright Got Questions Ministries