settings icon
share icon
প্রশ্ন

যীশু যখন বলেছিলেন, আমিই তখন তিনি এর দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছিলেন?

উত্তর


“তোমার নিজের বিষয়ে তুমি কি মনে কর?”- ফরীশীদের করা এই প্রশ্নের উত্তরে যীশু বললেন, “তোমাদের পিতা অব্রাহাম আমার দিন দেখার কথা চিন্তা করে আনন্দ করেছিলেন; আর তিনি তা দেখেছিলেন এবং আনন্দও করেছিলেন।’ উত্তরে যিহূদীরা তাঁকে বলেছিল, ‘তোমার তো এখনও পঞ্চাশ বছরও হয়নি, আর তুমি বলছো, তুমি অব্রাহামকে দেখেছ!’ উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি কথাই বলছি’, ‘অব্রাহামের পূর্বেই আমার জন্ম হয়েছিল, এবং আমি এখনও আছি!’ তাঁর এই কথায় তারা পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য পাথর তুলে নিল, কিন্তু যীশু নিজেকে লুকালেন এবং মন্দির-প্রাঙ্গণ থেকে চলে গেলেন। যীশুর বলা “আছি” -এর প্রতি যিহূদীদের যে আক্রমণাত্মক বা ভীতিকর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছিল তাতে বুঝা যায় যে, যীশু যে নিজেকে ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত উপাধি “আছি” এর সমরূপভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন তা তারা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছিল (যাত্রাপুস্তক ৩:১৪ পদ)।

যীশু যদি কেবলমাত্র এটি বলতে চাইতেন যে, অব্রাহামের সময়ের পূর্বেই তাঁর অস্তিত্ব ছিল, তাহলে তিনি বলতে পারতেন, “অব্রাহামের পূর্বেই আমি ছিলাম।” গ্রীক শব্দ “ছিলাম”- এটি অব্রাহামের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত, আর “আছি”- এটি যীশুর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত, এগুলো সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন ধরনের বিষয়। পবিত্র আত্মার দ্বারা গৃহিত বাক্য এটি স্পষ্ট করে যে, অব্রাহামকে “মানবরূপে আনা হয়েছিল” কিন্তু যীশুর অস্তিত্ব অনন্তকালস্থায়ী (যোহন ১:১ পদ)। এখানে সন্দেহের কোনই অবকাশ নেই যে, যীশু যা বলছিলেন তা যিহূদীরা বুঝতে পারছিল, কারণ তিনি নিজেকে ঈশ্বরের সমান দাবী করায় তারা তাঁকে হত্যা করার জন্য পাথর তুলে নিয়েছিল (যোহন ৫:১৮ পদ)। এরূপ দাবী বা বিবৃতি যদি সত্য না হয়, তাহলে তা ছিল ঈশ্বর-নিন্দার সামিল, আর মোশির নিয়ম অনুসারে শাস্তিস্বরূপ যে বিধান ছিল তা হলো মৃত্যুদন্ড (লেবীয় ২৪:১১-১৪ পদ)। কিন্তু যীশু কোন ঈশ্বর-নিন্দা করেননি; তিনি ঈশ্বর ছিলেন এবং এখনও আছেন, তিনি হলেন ত্রিত্ব-ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি সব দিক থেকেই ঈশ্বরের সমান।

“আমিই” এই কথাটি যীশু তাঁর নিজের সম্পর্কে তাঁর বলা সাতটি ঘোষণায় ব্যক্ত করেছেন, কিন্তু তিনি এই ‘আমি’-কে নানা দৃষ্টান্তের মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দরভাবে একত্রে উপস্থাপন করেছেন যা পৃথিবীর সাথে তাঁর মুক্তি বা উদ্ধার সংক্রান্ত যে সম্পর্ক তার কথা প্রকাশ করে। এই সব কিছু যোহনলিখিত সুসমাচারে দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলো হলো- আমিই জীবনরুটি (যোহন ৬:৩৫; ১, ৪৮, ৫১ পদ); আমিই জগতের আলো (যোহন ৮:১২ পদ); আমিই মেষদের দ্বার (যোহন ১০:৭,৯ পদ); আমিই উত্তম মেষপালক (যোহন ১০:১১, ১৪ পদ); আমিই পুনরুত্থান ও জীবন (যোহন ১১:২৫ পদ); আমিই পথ ও সত্য ও জীবন (যোহন ১৪:৬ পদ); এবং আমিই প্রকৃত দ্রাক্ষালতা (যোহন ১৫:১, ৫ পদ)।

English


বাংলা হোম পেজে ফিরে যান

যীশু যখন বলেছিলেন, আমিই তখন তিনি এর দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছিলেন?
© Copyright Got Questions Ministries