প্রশ্ন
ভূত\ভূতগ্রস্তদের সম্বন্ধে বাইবেল কি বলে?
উত্তর
ভূত বলে কি কোনো জিনিস আছে? এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে “ভূত” শব্দটি দিয়ে আসলে কি বোঝানো হয়েছে তার উপরে I শব্দটির অর্থ যদি “আত্মিক সত্তা” হয় তবে উত্তরটি একটি যোগ্য ‘হ্যাঁ I” যদি শব্দটির অর্থ “মৃত লোকেদের আত্মা হয়,” তবে উত্তরটি “না I” বাইবেল এটিকে পর্যাপ্তভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে ভাল ও মন্দ উয়েরই আত্মিক সত্তা রয়েছে I কিন্তু বাইবেল এই ধারনাটিকে প্রত্যাখ্যান করে যে মৃত মানুষের আত্মা পৃথিবীতে থাকতে পারে এবং জীবিতের মধ্যে “অবস্থান” করে I
ইব্রীয় 9:27 ঘোষণা করেছে, “মানুষ একবার মারা যায় এবং তারপরে বিচারের মুখোমুখি হয় I” মৃত্যুর পরে কোনো ব্যক্তির প্রাণ-আত্মায় এটিই ঘটে – বিচার I এই বিচারের ফলাফলটি বিশ্বাসীর পক্ষে স্বর্গ (2 করিন্থীয় 5:6-8; ফিলিপীয় 1:23) এবং অবিশ্বাসীর পক্ষে নরক (মথি 25:46; লুক 16: 22-24) I এর মাঝখানে কিছু নেই I আত্মার আকারে “ভূত” হিসাবে পৃথিবীতে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই I বাইবেল অনুসারে ভুতের মতন যদি কোনো জিনিস থাকে তবে তারা একেবারে মৃত মানুষের অশরীরী আত্মা হতে পারে না I
বাইবেল খুব স্পষ্টভাবে শিক্ষা দেয় যে সত্যই এমন আত্মিক সত্তা রয়েছে যারা আমাদের দৈহিক জগতের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং উপস্থিত হতে পারে I বাইবেল এই সত্তাদের স্বর্গদূত এবং ভূত হিসাবে চিহ্নিত করে I দেবদূত হ’ল আত্মিক সত্তা যারা ঈশ্বরের সেবা করতে বিশ্বস্ত I দেবদূতগণ ধার্মিক, ভালো এবং পবিত্র I ভূতেরা হ’ল পতিত স্বর্গদূত, যারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল I ভূতরা মন্দ, প্রবঞ্চক এবং ধ্বংসাত্মক I 2 করিন্থীয় 11:14-15 অনুসারে, ভূতেরা “আলোর দূত” এবং “ধার্মিকতার দাস” হওয়ার ছদ্মবেশ ধারণ করে I একটি “ভূত” হিসাবে আবির্ভূত হওয়া এবং একজন মৃত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করা অবশ্যই ভূতদের অধিকারী ক্ষমতা এবং যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে বলে মনে হয় I
অবস্থানের একটি নিকটতম বাইবেলের উদাহরণটি মার্ক 5:1-20 এর মধ্যে পাওয়া যায় I ভূতদের একটি দল একটি লোককে ধারণ করেছিল এবং সেই লোকটিকে একটি কবরস্থানে অবস্থানের জন্য ব্যবহার করেছিল I এতে কোনো ভূত জড়িত ছিল না I এটি সেই অঞ্চলের মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য একজন সাধারণ ব্যক্তিকে ভূত দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার ঘটনা ছিল I শয়তান কেবল “হত্যা, চুরি এবং ধ্বংস” করার চেষ্টা করে (যোহন 10:10) I লোকেদের ঈশ্বর থেকে দুরে নিয়ে যাবার জন্য তারা তাদের ক্ষমতার ভিতরে যা কিছু আছে তা করবে I এটি খুব সম্ভবত আজকের “ভুতুড়ে” ক্রিয়াকলাপের ব্যাখ্যা I এটিকে ভূত, পিশাচ, বা একটি উপদ্রবকারী, যাই বলা হোক না কেন, যদি সেখানে প্রকৃত মন্দ আত্মিক ক্রিয়াকলাপ ঘটে থাকে, তবে তা শয়তানের কাজ I
কোন উদাহরণগুলিতে “ভূতেরা” “ইতিবাচক” উপায়ে কাজ করে? মনোবিজ্ঞানীদের বিষয়ে কি বলা যায় যারা মৃত ব্যক্তিকে আহ্বান করে এবং তাদের কাছে থেকে সত্য এবং উপযোগী তথ্য লাভ করার দাবি করে? আবার এটিকে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শয়তানের লক্ষ্য হ’ল প্রতারণা করা I ফলাফল যদি তাই হয় তবে লোকেরা ঈশ্বরের পরিবর্তে মনস্তাত্ত্বিকের উপরে বিশ্বাস করবে, তখন একটি শয়তানের সত্য তথ্য প্রকাশ করা ইচ্ছার চেয়ে বেশি হবে I এমনকি ভাল এবং সত্য তথ্য, যদি মন্দ উদ্দেশ্যগুলির উৎস থেকে আসে তবে তা বিভ্রান্ত, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হতে পারে I
অস্বাভাবিকে রুচি ক্রমবর্ধমানরূপে সাধারণ হতে যাচ্ছে I এমন কিছু ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী রয়েছে যারা “ভূত-শিকারী” বলে দাবি করে, যারা মূল্যের বিনিময়ে আপনার বাড়িটিকে ভূত থেকে মুক্তি দেবে I মনোবিজ্ঞান, প্রেতের গবেষকদের বৈঠক, ট্যারট কার্ড এবং মাধ্যমগুলি ক্রমশ স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয় I মানুষ আধ্যাত্মিক জগত সম্পর্কে সহজাতভাবে সচেতন I দু:খের বিষয়, ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাঁর বাক্য অধ্যয়ন করার দ্বারা আত্মিক জগতের বিষয়ে সত্য অনুসন্ধান করার পরিবর্তে, অনেক মানুষ আত্মিক জগতের দ্বারা নিজেদের বিপথগামী হতে দেয় I শয়তানরা নিশ্চয়ই আজকের বিশ্বে বিদ্যমান আধ্যাত্মিক গণ-প্রতারককে দেখে হাঁসে I
English
ভূত\ভূতগ্রস্তদের সম্বন্ধে বাইবেল কি বলে?