settings icon
share icon
প্রশ্ন

স্বর্গে যাওয়া- আমি কিভাবে আমার অনন্ত গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি?

উত্তর


এটির মুখোমুখী হোন। আমাদের অগ্রসরমান ধাপটি যে অনন্তের মধ্যে প্রবেশ ধাবিত হচ্ছে সেটি আমাদের চিন্তার চেয়েও দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসতে পারে। ঐ বিশেষ মুহূর্তটির জন্য প্রস্তুত হতে আমাদের এই সত্যটি জানা প্রয়োজন- 'সকলেই স্বর্গে যাচ্ছে না'। আমরা কিভাবে নিশ্চয়তার বিষয়টি জানতে পারি যে, আমরা স্বর্গে যাচ্ছি। প্রেরিত পিতর ও যোহন ২০০০ হাজার বছরেরও আগে যিরূশালেম নগরীতে বৃহৎ লোকসমাজে প্রভু যীশুর সুসমাচার প্রচার করছিলেন। ঐ সময়ে তিনি যে বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন সেটি বর্তমান পৃথিবীর জন্যও প্রযোজ্য- "আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নীচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে" (প্রেরিত ৪:১২ পদ)।

আজকের প্রেক্ষাপটের বিচারে, প্রেরিত ৪:১২ পদটি রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়। বর্তমান সময়ে বহুল প্রচলিত কথাগুলো হচ্ছে, "সকলের যাত্রাই স্বর্গের দিকে" কিংবা "সকল পথই স্বর্গের অভিমুখে গেছে।" এমন অনেকেই আছেন যারা চিন্তা করেন যে, তারা যীশুকে ছাড়াই স্বর্গে যেতে পারবেন। তারা গৌরব প্রত্যাশা করেন, কিন্তু তারা ক্রশের দ্বারা, তৎসঙ্গে যিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁর জন্য কোন ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে চান না। অনেক লোক আছেন যারা স্বর্গে যেতে যীশুকে গ্রহণ করতে চান না এবং তারা অন্য কোন পথ খুঁজে নিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু যীশু আমাদের এই বলে সতর্ক করেন যে, সেখানে প্রবেশের আর অন্য কোন পথ নেই, এবং তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে অনন্ত নরকে পতিত হওয়া। তিনি আমাদের বলেন, "যে কেহ পুত্রে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে; কিন্তু যে কেহ পুত্রকে অমান্য করে, সে জীবন দেখিতে পাইবে না, কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধ তাহার উপর অবস্থিতি করে" (যোহন ৩:৩৬ পদ)। স্বর্গে যাওয়ার প্রধান চাবি হলো খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করা।

কেউ কেউ এই বলে তর্ক করতে পারেন যে, স্বর্গে যাওয়ার জন্য কেবলমাত্র একটি পথ বা উপায় রাখাটা ঈশ্বরের সংকীর্ণ মন-মানসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু এটি স্পষ্ট বা স্বচ্ছ যে, ঈশ্বর হলেন বড় মনের অধিকারী, কারণ তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করা সত্ত্বেও আমাদের জন্য একটি উপায় বা পথ রেখেছেন যেন আমরা স্বর্গে যেতে পারি। আমরা শাস্তির যোগ্য, কিন্তু প্রেমময় পিতা ঈশ্বর আমরা যেন আমাদের নিজ নিজ পাপসমূহ থেকে রক্ষা পাই সেইজন্য তিনি তার একজাত অদ্বিতীয় পুত্রকে আমাদের জন্য পাঠালেন। কেউ তাঁকে সংকীর্ণমনা কিংবা বড় মনের অধিকারী যা-ই বলুক না কেন, কিন্তু এটিই সত্য। সুখবর এই যে, যীশুকে মরেছিলেন এবং আবার উঠেছেন; এখন যারা স্বর্গে যেতে চায় তাদের অবশ্যই বিশ্বাসে এই সুসমাচার গ্রহণ করতে হবে।

আজকের দিনে এমন অনেকে আছেন যারা কেবলমাত্র জলে-ডুব দেওয়ার সুসমাচার নিয়ে ব্যস্ত যা অনুতপ্ত হওয়া বা অনুশোচনা করার মত বিষয় থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। তারা এমন একজন "প্রেমময়" (বিচার করেন না এমন) ঈশ্বরের প্রত্যাশা করেন যিনি কখনও তাদের পাপ চিহ্নিত করবেন না এবং তাদের জীবনধারার পরিবর্তনও দাবী করেন না। তারা এমনটি বলতে পারেন, "আমার ঈশ্বর কখনও কাউকে নরকে পাঠাবেন না।" কিন্তু যীশু যতটা না স্বর্গ সম্বন্ধে তার চেয়ে নরকের বিষয়ে অনেক বেশী কথা বলেছেন, এবং তিনি নিজেকে মুক্তিদাতা (ত্রাণকর্তা) হিসাবে উপস্থাপন করেছেন যিনি নিজেকে স্বর্গে যাওয়ার একমাত্র পথ হিসাবে উল্লেখ করেছেন : "আমিই পথ ও সত্য ও জীবন। আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না" (যোহন ১৪:৬ পদ)।

প্রশ্ন হলো, সত্যিকার অর্থে তবে কে স্বর্গে প্রবেশ করবে? আমি কিভাবে নিশ্চিত হব যে, আমি স্বর্গে যাচ্ছি? পবিত্র বাইবেল কারা অনন্ত জীবন লাভ করবে এবং কারা করবে না সে বিষয়ে সুস্পষ্ট পার্থক্যের বিষয়টি নির্দেশ করে। "পুত্রকে যে পাইয়াছে, সে সেই জীবন পাইয়াছে; ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নাই, সে সেই জীবন পায় নাই" (১যোহন ৫:১২ পদ)। এর সব কিছুই বিশ্বাসের দিকে ধাবিত হয়। যারা খ্রীষ্টে বিশ্বাস করে তারা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান হয়ে ওঠে (যোহন ১:১২ পদ)। যারা তাদের পাপের মূল্য পরিশোধের জন্য যীশুর আত্মত্যাগকে গ্রহণ করেন এবং তাঁর পুনরুত্থানে বিশ্বাস করেন তারা সকলেই স্বর্গে যাবেন। কিন্তু যারা খ্রীষ্টকে অগ্রাহ্য করে তারা কখনই স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবে না। যোহন ৩:১৮ পদে এই কথা লেখা আছে, "যে তাঁহাতে (যীশুতে) বিশ্বাস করে, তাহার বিচার করা যায় না; যে বিশ্বাস না করে, তাহার বিচার হইয়া গিয়াছে, যেহেতুক সে ঈশ্বরের একজাত পুত্রের নামে বিশ্বাস করে নাই।"

যারা যীশু খ্রীষ্টকে তাদের মুক্তিদাতারূপে গ্রহণ করেছে তাদের জন্য স্বর্গরাজ্য কতই না অসাধারণ হবে, আর যারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান বা অগ্রাহ্য করে তাদের জন্য নরক ততটাই যন্ত্রণাদায়ক হবে। বার বার করে না দেখলে কেউ-ই আন্তরিকতার সহিত বাইবেল পড়তে পারে না। পবিত্র বাইবেল এই সাক্ষ্য দেয় যে, স্বর্গে যাওয়ার মাধ্যম কেবলমাত্র একজনই এবং একটিই মাত্র পথ- সেটি হচ্ছেন যীশু খ্রীষ্ট। আসুন, আমরা যীশুর এই আদেশ অনুসরণ করি : "সংকীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে; কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সংকীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়" (মথি ৭:১৩-১৪ পদ)।

স্বর্গে যাওয়ার অন্যতম এবং একমাত্র পথ বা উপায় হলো যীশুকে বিশ্বাস করা। যাদের এই বিশ্বাস আছে তারা নিশ্চিত যে, তারা সেখানে যাবে। প্রিয় বন্ধু, আপনি কী যীশুকে বিশ্বাস করেন?

এগুলো পড়ে আপনি কি খ্রীষ্টের পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন? যদি নিয়ে থাকেন, তাহলে, ‘আমি আজকে খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেছি’ লেখা নীচের বোতামে টিক চিহ্ন দিন।

English


বাংলা হোম পেজে ফিরে যান

স্বর্গে যাওয়া- আমি কিভাবে আমার অনন্ত গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি?
© Copyright Got Questions Ministries