প্রশ্ন
নতুন মহাকাশ ও নতুন পৃথিবী কী?
উত্তর
মহাকাশ বা স্বর্গ আসলে কেমন- এ বিষয়ে অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে। প্রকাশিত বাক্য ২১ ও ২২ অধ্যায় এই নতুন মহাকাশ ও নতুন পৃথিবী সম্বন্ধে একটি বিশদ বিবরণ প্রকাশ করে। শেষকালীন ঘটনাবলীর পরে বর্তমানে অবস্থিত এই আকাশ ও পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে এবং সেই স্থানে নতুন মহাকাশ ও নতুন পৃথিবী অবস্থান করবে। এই নতুন পৃথিবীই হবে বিশ্বাসীদের জন্য অনন্তকালস্থায়ী বাসস্থান স্বরূপ। আর এই নতুন পৃথিবীই হলো “স্বর্গ” বা “স্বর্গরাজ্য” যেখানে আমরা অনন্ত ও অসীম সময় অতিবাহিত করব। এই সেই নতুন পৃথিবী যেখানে নতুন যিরূশালেম অর্থাৎ স্বর্গের রাজধানী অবস্থিত। এই নতুন পৃথিবীর দরজা বা ফটকগুলো হবে মুক্তা দিয়ে তৈরী এবং এর রাস্তাগুলো হবে কাচের মত খাঁটি সোনার তৈরী।
মহাকাশ - নতুন পৃথিবী – হলো বাস্তব বা দৃশ্যমান একটি স্থান যেখানে আমরা আমাদের মহিমান্বিত জাগতিক দেহ নিয়ে বসবাস করব (১করিন্থীয় ১৫:৩৫-৫৮ পদ)। অনেকে মনে করেন, স্বর্গ (আকাশ) হচ্ছে “মেঘের মধ্যে অবস্থিত”- কিন্তু এই ধারণাটি বাইবেলসম্মত নয়। “আত্মারা স্বর্গের চারিপাশে ভেসে বেড়াচ্ছে”- এটিও বাইবেলসম্মত নয়। এটি হবে এমন একটি নতুন এবং নিখুঁত গ্রহ বা স্থান যার অভিজ্ঞতা বিশ্বাসীরা লাভ করবে ও সেখানে অনন্তকাল ধরে তারা বাস করবে। নতুন এই পৃথিবী সব ধরনের পাপ, মন্দতা, অসুস্থতা, দুঃখ-কষ্ট এবং মৃত্যু থেকে মুক্ত থাকবে। প্রকৃতপক্ষে এটি হবে আমরা বর্তমানে যে পৃথিবীতে বাস করছি তার মতই, অর্থাৎ বলা যেতে পারে যে, এই পৃথিবীরই পুনঃসংস্করণ বটে, কিন্তু সেখানে পাপজনিত কোনরূপ অভিশাপ থাকবে না।
তাহলে প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে যে, আমরা এই নতুন মহাকাশ (স্বর্গ) সম্বন্ধে কী বুঝব? এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে “মহাকাশ” বলতে আকাশ এবং তৎসঙ্গে এর চারপাশের অবস্থানকেও বুঝানো হচ্ছে, যা একটি রাজ্যের মত যেখানে ঈশ্বর বাস করেন। সুতরাং প্রকাশিত বাক্য ২১:১ পদটি যখন নতুন মহাকাশের প্রতি ইঙ্গিত করে তখন এটি খুব সম্ভব এটিই নির্দেশ করে যে, সমস্ত বিশ্ব আবারও সৃষ্টি করা হবে, অর্থাৎ নতুন পৃথিবী, নতুন আকাশ এবং এর বহিঃস্থ/বাহ্যিক অবয়ব পুনরায় সৃষ্টি করা হবে। নতুনভাবে সৃষ্ট এটি দেখতে ঠিক ঈশ্বরের স্বর্গের মত যা মহাবিশ্বের সব কিছুতে একটি “সতেজতা ও নতুন যাত্রা” প্রদান করবে। এক্ষেতে এটি দেহিক/জাগতিক হোক কিংবা আত্মিক হোক তাতে কিছু যায়-আসে না। এখন প্রশ্ন হলো, আমরা কী এই নতুন স্বর্গে (মহাকাশে) প্রবেশ করতে পারব? সম্ভবত পারব, কিন্তু তা লাভ করার জন্য আমাদের অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। আসুন, স্বর্গ বা মহাকাশ সম্বন্ধে আমাদের চিন্তা-ধারা যেন সঠিকভাবে গঠিত হয় সেজন্য ঈশ্বরের বাক্যকে সুযোগ প্রদান করি।
English
নতুন মহাকাশ ও নতুন পৃথিবী কী?